বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বিনা সুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভনে জামানত সংগ্রহের নামে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে এসকেএস নামের একটি এনজিওর কর্মকর্তারা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাধারণ গ্রাহকরা ঋণ নিতে এসে এনজিওর অফিস তালাবদ্ধ দেখে কর্মীদের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলা সদরের বয়াতী মার্কেটের। ভুক্তভোগীরা জানান, গত দুই সপ্তাহ পূর্বে পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর উপজেলা থেকে দুইজন প্রতারক মুলাদী, হিজলা উপজেলা ও কাজিরহাট থানার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিনা সুদে ঋণ দেয়ার কথা জানায়। ওই সময় প্রতারকরা কয়েকটি বাড়ি নিয়ে ২৫ জনের একটি ইউনিট গঠন করে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এস কেএস নামের এনজিওর ওই কর্মীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ দেয়ার বিপরীতে পাঁচ হাজার টাকা এবং এক লাখ টাকার বিপরীতে ১০ হাজার টাকা করে জামানত আদায় করে।
বিনা সুদে ঋণ পাওয়ার আশায় কোন কিছু না জেনেই সহজ সরল গ্রামবাসী তথাকথিত এনজিও এসকেএসের কর্মকর্তাদের কাছে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেয়। কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের কাছে টাকা প্রাপ্তির একটি করে টোকেন দিয়ে মুলাদী বাঁধের ওপর বয়াতী মার্কেটে অফিস রয়েছে বলে ঠিকানা লিখে দিয়ে ৮ জুলাই ঋণের টাকা দেয়ার কথা জানায়। এ ভাবে এসকেএসের দুই কর্মী ১৫ দিনে মুলাদী, হিজলা উপজেলা এবং কাজিরহাট থানার প্রায় আটশ’ মানুষের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। মুলাদী সদর ইউনিয়নের ভাঙারমোনা গ্রামের ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদ হাওলাদার জানান, তাদের গ্রামের ২৫ জনের একটি ইউনিট গঠন করে এসকেএস জনপ্রতি পাঁচ হাজার করে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। উত্তরচর ডাকাতিয়া গ্রামের আছমা বেগম জানান, তার এলাকায় ২৫ জনের একটি ইউনিট গঠন করেছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জামানত নিয়েছে ওই এনজিওর কর্মকর্তারা। কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের মনির হোসেন হাওলাদার জানান, ওই এলাকায় তাকে দল নেতা করে ২৫ জনের একটি ইউনিট গঠনের মাধ্যমে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে এসকেএসের দুই কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে জামানতের টাকা প্রদানকারী গ্রাহকরা ঋণ নেয়ার জন্য মুলাদী বাঁধের ওপর বয়াতী মার্কেটে গিয়ে অফিস তালাবদ্ধ দেখে এনজিওর কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তা বন্ধ পেয়ে হতাশ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে গ্রাহকরা ভবন মালিককের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় কোন এনজিওর কাছে কক্ষ ভাড়া দেয়া হয়নি। এনজিওর কাছে ভাড়া না দেয়া হলেও একটি কক্ষের সামনে এসকেএসের সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখে ভুক্তভোগীদের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply